দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে অধিক আসনে জয়লাভের মধ্য দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে নতুন মন্ত্রিসভা গঠন করা হয়েছে।
বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী দল গুলোর মধ্যে যে দলের প্রার্থী অধিক আসনে জয়লাভ করবে সেই দল বাংলাদেশ সরকারের দায়িত্ব পালন করবে।
বাংলাদেশ জাতীয় সংসদে সর্বমোট ৩০০ টি সদস্য পদ রয়েছে। জাতীয় সংসদের প্রত্যেকটি সদস্যকে সংসদ সদস্য অর্থাৎ এমপি বলা হয়ে থাকে। অনেকেই এমপির বেতন কত টাকা তা জানতে চায়। তাই এই পোষ্টে এই নিয়ে বিস্তারিত জানানো হয়েছে।
এমপির বেতন কত ২০২৪
একজন এমপি তার নির্বাচনী এলাকার সর্বোচ্চ ক্ষমতাধর ব্যক্তিত্ব। সাধারণত একজন এমপি জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত হয়ে থাকেন।
২০২৪ সালে ১০ জানুয়ারি জাতীয় সংসদের সদস্যরা শপথ গ্রহণ করেছেন। একজন সংসদ সদস্য মাসিক বেতন সহ বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা পেয়ে থাকে।
আপনি কি জানেন বাংলাদেশের একজন এমপির বেতন কত? একজন এমপি অর্থাৎ জাতীয় সংসদের একজন সদস্য প্রতি মাসে ৫৫ হাজার টাকা মাসিক বেতন পেয়ে থাকেন।
বাংলাদেশের এমপির বেতন কত ২০২৪
জাতীয় সংসদের সদস্যদের বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক বিভিন্ন ভাতা প্রদান করা হয়ে থাকে। একজন সংসদ সদস্য মূল বেতন সহ প্রায় ৮ টি ভাতা পেয়ে থাকে।
একজন সংসদ সদস্য নির্বাচনী এলাকা ভাতা বাবদ ১২,৫০০ টাকা এবং নির্বাচনী এলাকায় অফিস পরিচালনা ভাতা বাবদ ১৫ হাজার টাকা পেয়ে থাকে।
এছাড়া একজন এমপি টেলিফোন ভাতা বাবদ ৭,৮০০ টাকা এবং চিকিৎসা ভাতা বাবদ ৭০০ টাকা ও ধোলাই ভাতা বাবদ ১,৫০০ টাকা পেয়ে থাকে।
একজন সংসদ সদস্য নিয়ামক ভাতা স্বরূপ ৫ হাজার টাকা এবং মোটরযান রক্ষণাবেক্ষণ ব্যয় হিসেবে ৭০ হাজার টাকা ভাতা পেয়ে থাকে।
এছাড়া অন্যান্য ভাতা হিসেবে ৬ হাজার টাকা এবং মূল বেতন সহ সর্বমোট প্রতি মাসে ১ লাখ ৭৩,৫০০ টাকা পর্যন্ত পেয়ে থাকে।
এমপি হতে কি কি যোগ্যতা লাগে
বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী কোন ব্যক্তির ১৮ বছর বয়স সম্পন্ন হলে তিনি ভোটার অধিকার অর্জন করেন তবে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রার্থী হতে ন্যূনতম বয়স ২৫ বছর পূর্ণ হতে হয়।
বাংলাদেশের সংবিধানে সংসদ সদস্য নির্বাচনের বেশ কিছু শর্ত ও যোগ্যতার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে হলে প্রথম শর্ত স্বরূপ তাকে বাংলাদেশের নাগরিক হতে হবে।
দণ্ডপ্রাপ্ত কোন যুদ্ধ অপরাধি জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রার্থী হতে পারবে না। এছাড়া ১৯৭২ সালের গণ প্রতিনিধিত্ব আদেশের ১২ তম ধারা অনুযায়ী প্রার্থীকে অবশ্যই কোন একটি নির্বাচনী এলাকার ভোটার হিসাবে তালিকাভুক্ত থাকতে হবে।
এছাড়াও প্রার্থীকে যেকোনো একটি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের মনোনয়ন প্রাপ্ত হতে হবে। সরকারি কর্তৃপক্ষ বা প্রতিরক্ষা কর্ম বিভাগের কোন চাকরি থেকে পদত্যাগ বা অবসরের পর ৩ বছর অতিবাহিত না হলে তিনি প্রার্থী হতে পারবেন না।
দুর্নীতির কারণে কোন সরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে বরখাস্ত বা অপসারিত ব্যক্তি প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করতে পারবে না। তবে তিনি বরখাস্ত হওয়ার পাঁচ বছর পর জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবেন।
একজন জাতীয় সংসদ সদস্যকে বিভিন্ন প্রতিকূলতার মধ্য দিয়ে যেতে হয়। তিনি বাংলাদেশ সরকারের বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়নে সরাসরি অংশ নিয়ে থাকেন। একজন সংসদ সদস্য সমগ্র বছর জুড়ে কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে জনগণের সেবায় নিয়োজিত থাকে। তাই একজন সংসদ সদস্যকে শ্রদ্ধার পাত্র হিসেবে গ্রহণ করা উচিত। ধন্যবাদ।